পথ চলতে চলতে দুম করে দেখা সূর্যমুখীর সাথে।কেমন
নির্লজ্জের মতো সারাদিন সূর্যের দিকে তাকিয়েই আছে।জন্ম
থেকেই তো এমন দশা।তাই বাধ্য হয়েই নাম রাখা হল সূর্যমুখী।
সকাল থেকে
সন্ধ্যা যতক্ষণ সূর্য থাকে, সে যে দিকেই যাক না কেন তাকেও সেই
দিকেই তাকাতে হবে। এত করে ধরে বেধেও সবাই ব্যর্থ হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা
এদের এই প্রবণতা কে সার্কাডিয়ান চক্র বলেছেন।যদিও
সব উদ্ভিদের-ই আলোকমুখিতা আছে।কিন্তু
সূর্যমুখীর মতো কেউই নিজের অবস্থানকে পরিবর্তন করতে পারে না।এটা ব্যতিক্রমী
ভাবে এদেরই বিশেষ ক্ষমতা।কোনও ভাবে
এই চক্র ব্যাহত হলে এদের আকৃতি শতকরা দশ শতাংশ ছোটো হয় এবং পরাগ মিলনে বাধার সৃষ্টি
হয়।
এ
তো গেল বিজ্ঞানের কথা।আসল কথা হল এর নির্ভরতা।সূর্যের
ওপরই তো ওর জনম মরণ,টিঁকে থাকা-বেঁচে থাকা।একবার
মুখ যদি ফেরায় সূর্য, তবে এর পতন আটকায়
কে।সারা বছরে একবার,কিন্তু সর্বক্ষণের জন্য যেন ছায়া-সঙ্গী হয়ে থাকে।
মেক্সিকোর
আবাদী বাংলাদেশ ঘুরে ভারতে ঢুকে পড়ল সহজেই।সবাই
তাকে আপন করে নিল।যার মুখপানে চেয়ে থাকা সে কি ফিরে তাকালো!হাজার ফুলের ভিড়ে সূর্য যে তাকে কবেই ভুলে গেছে শীত-বসন্ত
শেষে।হাজার অভিমান বুকে নিয়েই দীর্ঘ এক বছরের বিরতি নেয় সে।
নয়ন হরণ
রূপ নিয়ে তার যত গর্ব,দম্ভে তাকায় তেজী আলোকে তুচ্ছ করে।সব চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে জেনেও মহানন্দে পাপড়ি মেলে।নিজের
মধু অপরকে বিলায় নির্দ্বিধায়।
তাই তো কোথাও
সারা মাঠ জুড়ে চলে সূর্যমুখীর মেলা।কোথাও বা কোনো
বাগানের শোভা হয়ে,কখনও ছোট্ট টবে সঙ্গীহীন হয়ে তার চলে দাম্ভিক
বিরাজ।
Comments
Post a Comment