শহর- বৈশাখী পাল
আসমানি রং খুঁজতে গিয়ে একলা হলাম সেই অকালে।।
তোমার গানের ভৈরবী সুর
পায়ের ধুলো মেঘলা পুকুর।।
শহর তুমি গল্প একা, কৈ মাছের ওই ভীড়ের ভিতর।
শহর তোমায় খুঁজতে গিয়ে মনজোছোনা চাপানউতোর।।
শহর তুমি মানিকতলা, বাজারমুখী আঁশটে বাসা।
শহর তুমি নষ্ট শশা, গলির কোনে কলার খোসা।।
শহর তুমি কলেজপাড়া,বই এর দোকান আসুন দাদা।
শহর তুমি ব্যবসায়ী মন,দর কষাকষি গোলকধাঁধা।।
শহর তুমি ইলশেগুড়ি, প্রেমযাপনের চারটে আঙুল্।।
শহর তুমি রঙীন ফানুস, পায়ে হাঁটা পথ চলতে থাকুক।
শহর তুমি কামাই ক্লাসের গল্পজ্বরের বাবুঘাটে,
সেল্ফি মোডে ফুচকাগাড়ি আজও কেমন দাঁড়িয়ে থাকে!
শহর তুমি বিষন্নতা,একলা চড়াই প্রেম দিলে না।
শহর তুমি তাকিয়ে দ্যাখো, তোমার কোলেই নির্যাতিতা।
শহর তুমি প্রতিবাদের ঝড় তোলা সেই মোমবাতি।
ফেসবুকেতেই কাঁপন তোলো,লাইক্ করার মাতলামি!
শহর তুমি বাড়ছো যতো,বিজ্ঞাপনেরই বাড়ছে স্থূপ।
কংক্রীটেতে ঘুড়ি বেঁধে যায়,ভেলকি দেখায় মরণকূপ।।
শহর তুমি একটা ঋতু,হলদে আলোর ব্যস্ততা।
মাঘ ফাগুনের ধূসর ফুলে রোদ পোড়া এক অবাধ্যতা।।
শহর তবু কুমোরটুলি মনভালোকরা পদ্মমাস।
ঢাকের আওয়াজ, মোমোর বাড়ি
নতুনজামা ফূর্তিখাস্।।
শহর তুমি রাতজাগা এক্ মনভাঙনের হাওড়াব্রীজ্।
কেমন
যেনো তাকিয়ে থাকো,ঘুমিয়ে পড়ো এখন প্লিজ!
ভিজছো শহর ঝমঝমিয়ে,ক্লান্ত তোমার বর্ষামন।
মেঘের কোলে বিছনা
পাতা, সাক্ষী থাকুক সঙ্গোপন।।
Comments
Post a Comment