জামালপুরের মেলা : অশ্লীলতা ও অমানবিকতা - শতাব্দী
বর্ধমানের পাটুলির জামালপুর গ্রামে বুদ্ধ-পূর্ণিমা কে কেন্দ্র করে বুড়োরাজ শিবের পুজো হয়। এই পুজো উপলক্ষে "ভক্ত"দের পরনে থাকে লাল পোষাক ; হাতে তরোয়াল , রাম দা , খাঁড়া , টাঙ্গি , তাসা প্রভৃতি বাজনা সহ তারা উৎসবে অংশগ্রহণ করে । সঙ্গে থাকে ভেড়া / ছাগল। যদিও শিব পূজায় বলির প্রচলন নেই । কথিত আছে, স্থানটি তে শিব ও মা চন্ডী সহাবস্থান করেন। দেবী চন্ডীর উদ্দেশেই চলে এই বলি।
প্রতি বছর বিভিন্ন পূর্ণিমায় যেমন - বৈশাখী পূর্ণিমা , জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমা , মাঘি পূর্ণিমা ও বুদ্ধ পূর্ণিমা তে এখানে "ভক্ত" সমাগম ঘটে।
তাদের উৎসবের আনন্দ খানিকটা এরকম -----
জামালপুরের মেলা : অশ্লীলতা ও অমানবিকতা
কাটা ভেড়া রক্ত মাখা ,
সারা দেহে রক্ত-ছাপ।
সবার মাঝে বিভৎসতা
নারকীয় অত্যাচার ।
নারী শরীর বড্ড প্রিয়
বড্ড প্রিয় রক্ত ঘ্রাণ ।
মানুষ ভাবতে ঘেন্না হয়
নিষ্ঠুর এ মানব প্রাণ।
ফূর্তি করে অস্ত্র হাতে
ফূর্তি করে উল্লাসে।
ফূর্তি আনে মৃত্যু যখন
নাচে সবাই মহোল্লাসে।
উৎসব শেষে ফিরতি পথে
ধ্বংস করে জাতির নাম।
ডুবতে থাকে লাল জলেতে
জীবন যেন অন্ধ দান।
কথিত আছে , বহু বছর আগে যদো ঘোষ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে একটা গরু ছিল। বাছুর থাকা সত্ত্বেও সে এক ফোঁটাও দুধ দিত না। প্রতিদিন নিয়ম করে চড়তে বেরত । কিন্তু বাড়ি ফিরে দেখা যেত বাঁট ফাঁকা। ফলত সন্দেহ হওয়াতে মালিক একদিন গরুটি কে অনুসরণ করে এ রহস্যের সমাধান করল।
দেখল , জঙ্গলের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় এসে দাঁড়াতেই তার বাঁট থেকে আপনা আপনি দুধ পড়ছে। পরপর কিছুদিন এরকম দেখার পর যদু ঘোষ ঘটনাটা পূর্বস্থলীর জমিদার মধুসূদন চট্টোপাধ্যায় কে জানান। অতঃপর সেখানে হাতখানেক মাটি খুঁড়ে শিবলিঙ্গ আবিষ্কৃত হয়। দিনটি ছিল বুদ্ধ পূর্ণিমা ।
সেই থেকে অদ্যাবধি এই পুজো চলে আসছে।
হাতের অস্ত্রগুলি কেবল বলির প্রয়োজনে নয় , বলির মাংস রক্ষা ও আত্মরক্ষার প্রয়োজনে ব্যবহৃত হত /হয়।
----- এমনটাই আঞ্চলিক মত।
এ অবধি হল ধর্ম কথা। ধর্মের অন্তরালে যে বিভৎসতা , নারকীয়তা তার বিবরণ চাক্ষুষ না করলে দেওয়া যায় না।
কোনো বছর কেউ যদি বুদ্ধ পূর্ণিমার সময় হাওড়া থেকে আপ কাটোয়া লোকাল ধরে কাটোয়াগামী হন , তবে তাঁকে অবশ্যই পাটুলি স্টেশন অতিক্রম করতে হবে। পাটুলি অতিক্রান্ত হতেই যে কোনো ভদ্র মানুষের মনে হতে থাকবে গন্তব্য কখন আসবে। অবশ্যই সেই ভদ্র ব্যক্তিকে এই ধর্মীয় উৎসব সম্পর্কে অজ্ঞাত থাকতে হবে , নতুবা এর বীভৎসতা সম্পর্কে অবশ্যই অজ্ঞাত থাকতে হবে। তবেই এর নারকীয়তা ও লোলুপতা স্পষ্ট হবে।
পাটুলি স্টেশন থেকে উঠে একদল "ভক্ত " তাদের তাণ্ডব নৃত্য চালাতে থাকে , সমগ্র ট্রেনের কামরা জুড়ে। তীব্র বাজনার শব্দ যখন কান ফাটাতে থাকে ঠিক তখনই চোখের সামনে ঘটে চলে একের পর এক ঘটনাগুলি। ট্রেনের কামরার ভিতরই চলতে থাকে অস্ত্র চালনা। সরকারী আলো পাখা গুলিও রেহাই পায় না , এদের হাত থেকে। ভীড়ে ঠাসা ট্রেন , অথচ চলে নারকীয় নৃত্য । মদ্যপ "ভক্ত"রা ভেড়া - ছাগলের কাটা মুণ্ড ছুঁড়ে ছুঁড়ে করে বালখিল্যতা। বয়স নির্বিশেষে যাত্রী- নারী শরীরে চলে নিজেকে নিমজ্জন , ঘর্ষণ । কেবল তাই-ই নয় , বন্ধু-পুরুষেও সর্বজনসম্মুখে চলে কামনার বহিঃপ্রকাশ । এ সবই ধর্মের অংশ বলেই তাদের ধারণা।
এদের উগ্রতার মাঝে দাঁড়িয়ে থাকে নির্বাক সমস্ত দর্শক - শ্রোতা গণ। সকলেই যে প্রাণ ভয়ে ভীত ।
প্রতি বছর বিভিন্ন পূর্ণিমায় যেমন - বৈশাখী পূর্ণিমা , জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমা , মাঘি পূর্ণিমা ও বুদ্ধ পূর্ণিমা তে এখানে "ভক্ত" সমাগম ঘটে।
তাদের উৎসবের আনন্দ খানিকটা এরকম -----
জামালপুরের মেলা : অশ্লীলতা ও অমানবিকতা
কাটা ভেড়া রক্ত মাখা ,
সারা দেহে রক্ত-ছাপ।
সবার মাঝে বিভৎসতা
নারকীয় অত্যাচার ।
নারী শরীর বড্ড প্রিয়
বড্ড প্রিয় রক্ত ঘ্রাণ ।
মানুষ ভাবতে ঘেন্না হয়
নিষ্ঠুর এ মানব প্রাণ।
ফূর্তি করে অস্ত্র হাতে
ফূর্তি করে উল্লাসে।
ফূর্তি আনে মৃত্যু যখন
নাচে সবাই মহোল্লাসে।
উৎসব শেষে ফিরতি পথে
ধ্বংস করে জাতির নাম।
ডুবতে থাকে লাল জলেতে
জীবন যেন অন্ধ দান।
কথিত আছে , বহু বছর আগে যদো ঘোষ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে একটা গরু ছিল। বাছুর থাকা সত্ত্বেও সে এক ফোঁটাও দুধ দিত না। প্রতিদিন নিয়ম করে চড়তে বেরত । কিন্তু বাড়ি ফিরে দেখা যেত বাঁট ফাঁকা। ফলত সন্দেহ হওয়াতে মালিক একদিন গরুটি কে অনুসরণ করে এ রহস্যের সমাধান করল।
দেখল , জঙ্গলের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় এসে দাঁড়াতেই তার বাঁট থেকে আপনা আপনি দুধ পড়ছে। পরপর কিছুদিন এরকম দেখার পর যদু ঘোষ ঘটনাটা পূর্বস্থলীর জমিদার মধুসূদন চট্টোপাধ্যায় কে জানান। অতঃপর সেখানে হাতখানেক মাটি খুঁড়ে শিবলিঙ্গ আবিষ্কৃত হয়। দিনটি ছিল বুদ্ধ পূর্ণিমা ।
সেই থেকে অদ্যাবধি এই পুজো চলে আসছে।
হাতের অস্ত্রগুলি কেবল বলির প্রয়োজনে নয় , বলির মাংস রক্ষা ও আত্মরক্ষার প্রয়োজনে ব্যবহৃত হত /হয়।
----- এমনটাই আঞ্চলিক মত।
এ অবধি হল ধর্ম কথা। ধর্মের অন্তরালে যে বিভৎসতা , নারকীয়তা তার বিবরণ চাক্ষুষ না করলে দেওয়া যায় না।
কোনো বছর কেউ যদি বুদ্ধ পূর্ণিমার সময় হাওড়া থেকে আপ কাটোয়া লোকাল ধরে কাটোয়াগামী হন , তবে তাঁকে অবশ্যই পাটুলি স্টেশন অতিক্রম করতে হবে। পাটুলি অতিক্রান্ত হতেই যে কোনো ভদ্র মানুষের মনে হতে থাকবে গন্তব্য কখন আসবে। অবশ্যই সেই ভদ্র ব্যক্তিকে এই ধর্মীয় উৎসব সম্পর্কে অজ্ঞাত থাকতে হবে , নতুবা এর বীভৎসতা সম্পর্কে অবশ্যই অজ্ঞাত থাকতে হবে। তবেই এর নারকীয়তা ও লোলুপতা স্পষ্ট হবে।
পাটুলি স্টেশন থেকে উঠে একদল "ভক্ত " তাদের তাণ্ডব নৃত্য চালাতে থাকে , সমগ্র ট্রেনের কামরা জুড়ে। তীব্র বাজনার শব্দ যখন কান ফাটাতে থাকে ঠিক তখনই চোখের সামনে ঘটে চলে একের পর এক ঘটনাগুলি। ট্রেনের কামরার ভিতরই চলতে থাকে অস্ত্র চালনা। সরকারী আলো পাখা গুলিও রেহাই পায় না , এদের হাত থেকে। ভীড়ে ঠাসা ট্রেন , অথচ চলে নারকীয় নৃত্য । মদ্যপ "ভক্ত"রা ভেড়া - ছাগলের কাটা মুণ্ড ছুঁড়ে ছুঁড়ে করে বালখিল্যতা। বয়স নির্বিশেষে যাত্রী- নারী শরীরে চলে নিজেকে নিমজ্জন , ঘর্ষণ । কেবল তাই-ই নয় , বন্ধু-পুরুষেও সর্বজনসম্মুখে চলে কামনার বহিঃপ্রকাশ । এ সবই ধর্মের অংশ বলেই তাদের ধারণা।
এদের উগ্রতার মাঝে দাঁড়িয়ে থাকে নির্বাক সমস্ত দর্শক - শ্রোতা গণ। সকলেই যে প্রাণ ভয়ে ভীত ।
Comments
Post a Comment